Wednesday, May 20, 2020

 

সুকুমার চৌধুরীর কবিতা

সুকুমার চৌধুরীর কবিতা

The right people are rude
They can afford to be..
~ Somerset Maughm

পালিয়ে এসেছি । ভেবেছি নিষ্ঠুর ।
যেমন রৌদ্রের থেকে পালায় মানুষ ।
আজ সমস্ত শরীর হিম, উপদ্রুত মন
উষ্ণতার কথা ভাবি । তাঁর
রৌদ্র-মানবতার কথা ভাবি ।
বুঝি ওই নিষ্ঠুরতা অনিবার্য ছিল
আমি তার নির্ঝর শুনিনি।
আজ তাঁর উৎসর্গের কথা মনে পড়ে


শিস্

ইচ্ছেটুকুই সর্বস্য নয় জেনো
মরার পর বাঁচার কথা
         আমাকে বলো না

মরে গেলে অচিন পাখি হয়ে
এসে বসবো তোমার দোরে
তুমি দুর দুর করে তাড়িয়ে দেবে
          কখনো খুদকুড়ো দেবে

ও সব কি ভালো
তাচ্চেয়ে দুর দুর, খুদকুড়ো, যা পাওয়ার
সব এই জীবনেই ভালো

আর আসার কথা বলো না আমাকে
মরার পর বাঁচার কথা
           আমার ভালো লাগে না


যাপন

অসুবিধে হয় জানি । ব্যপ্ত চরাচরে শুধু
ফনিমনসার উলু ।
কতকাঁটা, সমাজ, সংস্কার, ভয়
ক্ষোভ, মুল্যবোধ ।
 

আমার ভালো লাগা মুখোশখানা তুমি নাও
আমাকে দাও তোমারটা ।আর এভাবেই
এসো ভুলে যাই পারিপার্শ ।

হয়তো বা ফাঁকি,
তবু এও এক অন্যরকম অভিনয় ।আপাতসুন্দর ।
এসো শিখে নিই আর
প্রতিবেশীদের মতো রক্তমাংসময় বেঁচে বর্তে থাকি
 




ক্রিসমাস
তোমাদের শহরে আবার এসেছে ক্রিসমাস
অথচ মজা দ্যাখো তোমাদের বাড়ির ছাদে এ বছর
ফোটেনি গোলাপ
শুকনো ফুলের ঝাড় কেঁপে কেঁপে ওঠে শীতের বাতাসে
শুধু এই সব দেখি
আর শুনি কানপুর দাপিয়ে বেড়াচ্ছো খুব আজকাল
খুব ভালো আছো তুমি খুব ভালো
শুধু একটু একটু কোরে শীত ছড়িয়ে পড়ছে তোমাদের শহরে
ন্যাড়া ল্যাম্পপোষ্টের পাশাপাশি মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে
সর্বশ্রান্ত গাছগুলি
ভার্সিটির গেটে পর্শু ভোররাতে মারা গ্যাছে সেই ভিকিরি বুড়িটা
আর আমি একা একা শহরের অলিতে গলিতে ঘুরে বেড়াই
আমার অগোছালো টেবিলে পড়ে থাকে
তোমাকে লেখা শুভেচ্ছালিপি
তোমাদের শহরে হাঁটতে হাঁটতে তোমার কথা
খুব মনে পড়ছে আজকাল
মনে পড়ছে কি ভাবে এক সন্ধ্যেবেলা থমথমে মুখে
তুমি একা দাঁড়িয়েছিলে ভ্যারাইটি স্কোয়ারে
অফিসের টেবিলে বসে জানালা দিয়ে মাঝে মাঝে
চেয়ে দেখি এমাইডিসির বিচ্ছিরি আকাশ
আমার মন খারাপ হোয়ে যায়
সিগারেট ধরিয়ে চুপচাপ বসে থাকি আর মনে হয়
এই বুঝি বেজে উঠলো ফোন এই বুঝি......

রোদ
বাগানের ভিজে ঘাস অন্ধকার ছুঁয়ে একটু একটু কোরে
ছড়িয়ে পড়ছে রোদ
মর্মরমুর্তির ঘুমন্ত চিবুক বেয়ে চুঁইয়ে পড়ছে তরল রোদ্রকণা
কুচোপাথরের লন বেয়ে বেবাক ছুটে এসে
বাজিয়ে দিচ্ছে ওপরতলার কলিংবেল
ওঠো হে ওঠো এই দ্যাখো বলে
বিষন্ন রাত্রিবাসের ওপর ছুঁড়ে দিচ্ছে
রঙচঙে সুগন্ধি সব ককটেলের চিঠি
রোদের সময় নেই হ্যাংলা সানসেট থেকে
আবার লাফিয়ে পড়ছে ব্যস্তসমস্ত রোদ
ওভারব্রিজ পেরিয়ে হলুদ সাপের মতো একেঁবেঁকে
ছুটে যাচ্ছে মেঠোপথ ভেঙে
নিকানো উঠোন আর গোবুরে দেয়ালের গায়ে
আসঙ্গ লিপ্সায় পিছলে পড়ছে খর্খরে রোদ
আগুড় খশিয়ে অবলীলায় সেঁধিয়ে যাচ্ছে ভাঙ্গা দোচালায়
স্যঁতস্যাঁতে মেঝে আর ফেঁসো দেয়ালের বুকে
ছড়িয়ে দিচ্ছে তার দীর্ঘ অভয় হাত
ন্যাংটো শিশুদের হাতে তুলে দিচ্ছে
রাংতামোড়া টফি ও বিস্কিট
রোদ ছুটছে রোদ গভীরতম গোপন প্রদেশে
ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছে অবয়বনাশাতুর রোদ
রোদ আসছে রোদ
গনগনে স্নিগ্ধ রোদে ঝিকিয়ে উঠছে
ওই কৃষাণ বধুর শাদা দাঁত


৩৬ চৌরঙ্গি লেনের দিকে

থার্টি সিক্স চৌরঙ্গি লেনের দিকে হেঁটে যাবো পাশাপাশি
ইচ্ছে ছিলো অথচ মুক্তমেলার দিকে হেঁটে গেল অবিশ্বাসী মন
মুক্তি কি এতোই শস্তা খুকুমণি
ভয় নেই লজ্জা ও কূহক
এই ভুল ভেঙ্গে গেল ফুচকাওলার ডাকে শালঠোঙ্গা ইমলির ঝোলে
এ্যাকাডেমি পুনর্বার ডেকেছিলো ভন্ড পাপীটিকে
অথচ শেয়ালদা ষ্টেশনে কিছু শিল্পীদের দুখীগান
শোনা গেল তোমার কল্যাণে
আর অমোঘ দুঃখের মতো ভারী হলো
আমাদের বেঁচে থাকা নিঃসঙ্গতাবোধ
যেন নির্জন ঘুঘুর ডাক সন্তর্পণে নেমে এলো রক্ত বেহালায়
সুমিত্রা মনে পড়ে
লোকাল ট্রেনের ভিড়ে যতটা স্তব্ধতা ছিলো আমাদের ঘিরে
ততোটা কি অনিবার্য ছিলো
আমাকে হারাবে পথ
লক্ষ লক্ষ যোজনের রাঙাধুলো নিয়েছি মজ্জায়
অথচ বালিগঞ্জ ষ্টেশনে তোমার ব্যাকুলতা দেখে
কেন জানি
বিষন্ন মায়ের মুখ মনে পড়ে গেল
হায়
অজ্ঞাতবাসের আগে তাঁর সাথে দেখাও করিনি



বিবাহ

যেখানে ছড়িয়ে থাকে গোপন বিধুর
তার কাছে যাই
নিরবতা যার স্বরলিপি, বীতমন্ত্র
তার গান গাই

এ রকম আমার ভ্রমণ, এ রকম
নীল অবগাহ
যে রকম পাখির উড়াল, যে রকম
ধ্বনির বিবাহ ………



সুকুমারচৌধুরীরকবিতা

নবেগাঁও


কারাযায়অরণ্যেপাহাড়ে
সাইবেরিয়ারপাখি
ছত্রস্নায়ুগান
নারকীউল্লাস

পাখিগানঅবৈধআবেগ
যাইযাক
সাথেসাথেযায়
একআর্তআত্মা
নিঃসঙ্গনির্মাণ
সকলেজানেনা


যেহ্রদঅর্জনকরে
সমুদ্রপ্রতিভা
যেঅরণ্য
অগমনির্মাণ
যেখানেপাখিরগান
জিগীষাবিহীন
শুধুনির্মাণেরসুখেফোটে
অনাবিলফুল

আমিসেই
হিরন্ময়প্রকৃতিরঅণু
ভালবাসিপূজা


সন্ধ্যেনেমেএলে
বেজেওঠেঅরণ্যের
স্বতন্ত্রসেতার
পানকৌড়িরজলদৌড়
মুছেযায়
অন্ধকারজলঘুমে
শুধুতারবিশালচুলেরঢালে
জ্বলেওঠেস্পর্শলোভ
উন্মাদজোনাকি
আরহাওয়াএসেচুপিচুপি
দিয়েযায়মুগ্ধবোধ
মগ্নতারপাঠ


আমরাআগুনঘিরে
চুপচাপবসেথাকি
মধ্যরাতে
সেঁকেনিইবিষণ্ণতাশীত
আমাদেরবোধআরনিজস্ববিষাদগুলি
অরণ্যেরপ্রগাঢ়নির্জনে
মিলেমিশেএকহোয়েযায়
কতদিনপরআমরাঅনুভবকরি
নিরবতাকতকিছুবলে


শেষরাতেঅনিবার্যগণঘুমে
একাএকাজেগে
ফিরেযেতেযেতে
মনেপড়ে
এখানেওছিলোএক
কষ্টকৃতপশুশালা
সাজানোবাগানভুমি
মিউজিয়মেরকাঠওপাথর
আরও
কতঅন্ধআয়োজন.........


শিস্

ইচ্ছেটুকুইসর্বস্যনয়জেনো
মরারপরবাঁচারকথা
আমাকেবলোনা

মরেগেলেঅচিনপাখিহয়ে
এসেবসবোতোমারদোরে
তুমিদুরদুরকরেতাড়িয়েদেবে
কখনোখুদকুড়োদেবে

ওসবকিভালো
তাচ্চেয়েদুরদুর, খুদকুড়ো, যাপাওয়ার
সবএইজীবনেইভালো

আরআসারকথাবলোনাআমাকে
মরারপরবাঁচারকথা
আমারভালোলাগেনা

(১১.১১.১৯৮৭, লিবিডোরহাড়মালা/৪৭)




যাপন

অসুবিধেহয়জানি।ব্যপ্তচরাচরেশুধু
ফনিমনসারউলু।
কতকাঁটা, সমাজ, সংস্কার, ভয়
ক্ষোভ, মুল্যবোধ।
 

আমারভালোলাগামুখোশখানাতুমিনাও
আমাকেদাওতোমারটা।আরএভাবেই
এসোভুলেযাইপারিপার্শ।

হয়তোবাফাঁকি,
তবুএওএকঅন্যরকমঅভিনয়।আপাতসুন্দর।
এসোশিখেনিইআর
প্রতিবেশীদেরমতোরক্তমাংসময়বেঁচেবর্তেথাকি
 




বিবাহ

যেখানেছড়িয়েথাকেগোপনবিধুর
তারকাছেযাই
নিরবতাযারস্বরলিপি, বীতমন্ত্র
তারগানগাই

এরকমআমারভ্রমণ, এরকম
নীলঅবগাহ
যেরকমপাখিরউড়াল, যেরকম
ধ্বনিরবিবাহ………



ফেবু-পদ্য

ফেবু-পদ্যনিয়েকেন
এতকোলাহল
মদ্যসেতোফেবু-ফ্রেন্ড
নয়হলাহল

পানকরোগানকরো
করোউপভোগ
ঢেলোনামগজেতাকে
হৃদয়েপ্রয়োগ।








ডোঙরগড়পাতারকুটিরে

জালবিছিয়েঅপেক্ষাকোরছেলোভ
এখনদুপুরবেলাঘুরন্তআগড়খুলেকলকলবিদেশীবাতাস
চার্মিনারেরধোঁয়াওড়ে
চলেএসোমুর্খভিটামিন
নৈঃশব্দেমিশেছেঘামকৌ্মার্যক্রন্দন
এসোচলেএসোক্ষুধা
হাতধরো
কোয়াওআঙুরখুলেনিয়েচলোআধারেআদিম
তৃষ্ণাথেকেআকন্ঠমৌ্রিমদেরদিকে
শূন্যতাথেকেসম্মোহনে
ঝিমঝিমঅসুখথেকেঅনন্তসুখেরদিকে
নিয়েচলোআমাকেশিকার
মেধাওমগ্নতানাওওষ্ঠনাওজ্বালা
রক্তনাওজীবনেরহত্যাটিওদেখহারাকিরি
বিছানোরয়েছেজালএসোবসিআর
ছিঁড়িখুঁড়িনির্জনতাসুন্দরেরশবদেহ
পৃথিবীশুদ্ধজেনেযাককিরকমদুর্বিনীত
বেঁচেআছিআমিওআমূল

 

ক্রিসমাস


তোমাদেরশহরেআবারএসেছেক্রিসমাস
অথচমজাদ্যাখোতোমাদেরবাড়িরছাদেএবছর
ফোটেনিগোলাপ
শুকনোফুলেরঝাড়কেঁপেকেঁপেওঠেশীতেরবাতাসে
শুধুএইসবদেখি
আরশুনিকানপুরদাপিয়েবেড়াচ্ছোখুবআজকাল
খুবভালোআছোতুমিখুবভালো
শুধুএকটুএকটুকোরেশীতছড়িয়েপড়ছেতোমাদেরশহরে
ন্যাড়াল্যাম্পপোষ্টেরপাশাপাশিমাথাচাড়াদিয়েউঠছে
সর্বশ্রান্তগাছগুলি
ভার্সিটিরগেটেপর্শুভোররাতেমারাগ্যাছেসেইভিকিরিবুড়িটা
আরআমিএকাএকাশহরেরঅলিতেগলিতেঘুরেবেড়াই
আমারঅগোছালোটেবিলেপড়েথাকে
তোমাকেলেখাশুভেচ্ছালিপি
তোমাদেরশহরেহাঁটতেহাঁটতেতোমারকথা
খুবমনেপড়ছেআজকাল
মনেপড়ছেকিভাবেএকসন্ধ্যেবেলাথমথমেমুখে
তুমিএকাদাঁড়িয়েছিলেভ্যারাইটিস্কোয়ারে
অফিসেরটেবিলেবসেজানালাদিয়েমাঝেমাঝে
চেয়েদেখিএমাইডিসিরবিচ্ছিরিআকাশ
আমারমনখারাপহোয়েযায়
সিগারেটধরিয়েচুপচাপবসেথাকিআরমনেহয়
এইবুঝিবেজেউঠলোফোনএইবুঝি......

তোতাপাখি

চৌকাঠমাড়ালেসেইপ্রিয়বিস্মরণ
এমনবিশ্বাসবোধেনেড়েছিলেহাত
রৌদ্রএসেধুয়েদিলোআমারবিষাদ
স্মৃতিরদয়ায়ফেরেকোজাগররাত
পুকুরদেখেছোতুমিদেখোনিতোজল
কলসিডুবিয়েতাতেভিজিয়েছোনিজস্বনির্জন
জলেরমহিমাতুমিফিরেদেখোহৃদয়েরও
প্রচলমর্চেরনিচেখুঁজেপাবেআত্মারবিজন
অতএবছাইঘেটেমিছেখোঁজোআগুনেরশিখা
ভালোথেকোতোতাপাখিভুলবোনাএইটুকুলিখা

রোদ

বাগানেরভিজেঘাসঅন্ধকারছুঁয়েএকটুএকটুকোরে
ছড়িয়েপড়ছেরোদ
মর্মরমুর্তিরঘুমন্তচিবুকবেয়েচুঁইয়েপড়ছেতরলরোদ্রকণা
কুচোপাথরেরলনবেয়েবেবাকছুটেএসে
বাজিয়েদিচ্ছেওপরতলারকলিংবেল
ওঠোহেওঠোএইদ্যাখোবলে
বিষন্নরাত্রিবাসেরওপরছুঁড়েদিচ্ছে
রঙচঙেসুগন্ধিসবককটেলেরচিঠি
রোদেরসময়নেইহ্যাংলাসানসেটথেকে
আবারলাফিয়েপড়ছেব্যস্তসমস্তরোদ
ওভারব্রিজপেরিয়েহলুদসাপেরমতোএকেঁবেঁকে
ছুটেযাচ্ছেমেঠোপথভেঙে
নিকানোউঠোনআরগোবুরেদেয়ালেরগায়ে
আসঙ্গলিপ্সায়পিছলেপড়ছেখর্খরেরোদ
আগুড়খশিয়েঅবলীলায়সেঁধিয়েযাচ্ছেভাঙ্গাদোচালায়
স্যঁতস্যাঁতেমেঝেআরফেঁসোদেয়ালেরবুকে
ছড়িয়েদিচ্ছেতারদীর্ঘঅভয়হাত
ন্যাংটোশিশুদেরহাতেতুলেদিচ্ছে
রাংতামোড়াটফিওবিস্কিট
রোদছুটছেরোদগভীরতমগোপনপ্রদেশে
ছড়িয়েছিটিয়েপড়ছেঅবয়বনাশাতুররোদ
রোদআসছেরোদ
গনগনেস্নিগ্ধরোদেঝিকিয়েউঠছে
ওইকৃষাণবধুরশাদাদাঁত

৩৬চৌ্রঙ্গিলেনেরদিকে

থার্টিসিক্সচৌরঙ্গিলেনেরদিকেহেঁটেযাবোপাশাপাশি
ইচ্ছেছিলোঅথচমুক্তমেলারদিকেহেঁটেগেলঅবিশ্বাসীমন
মুক্তিকিএতোইশস্তাখুকুমণি
ভয়নেইলজ্জাওকূহক
এইভুলভেঙ্গেগেলফুচকাওলারডাকেশালঠোঙ্গাইমলিরঝোলে
এ্যাকাডেমিপুনর্বারডেকেছিলোভন্ডপাপীটিকে
অথচশেয়ালদাষ্টেশনেকিছুশিল্পীদেরদুখীগান
শোনাগেলতোমারকল্যাণে
আরঅমোঘদুঃখেরমতোভারীহলো
আমাদেরবেঁচেথাকানিঃসঙ্গতাবোধ
যেননির্জনঘুঘুরডাকসন্তর্পণেনেমেএলোরক্তবেহালায়
সুমিত্রামনেপড়ে
লোকালট্রেনেরভিড়েযতটাস্তব্ধতাছিলোআমাদেরঘিরে
ততোটাকিঅনিবার্যছিলো
আমাকেহারাবেপথ
লক্ষলক্ষযোজনেররাঙাধুলোনিয়েছিমজ্জায়
অথচবালিগঞ্জষ্টেশনেতোমারব্যাকুলতাদেখে
কেনজানি
বিষন্নমায়েরমুখমনেপড়েগেল
হায়
অজ্ঞাতবাসেরআগেতাঁরসাথেদেখাওকরিনি

 

চিখলদরা


দিগন্তেরদিকেহেঁটেযেতেযেতে
আমরাকখনোখুলিআদিখোশা
হাতেরমুঠোয়বন্ধ
প্রত্নজকুসুম
পরমমাটিরবুকেকানপেতে
শুনিদীর্ঘশ্বাসআর
অতীন্দ্রিয়বোধেরকুয়াশা
কখনগুটিয়েফেলে
অনঙ্গঅধুনা
ভাবি
এমনবিস্মৃতিবুঝিহিরন্ময়
এমনআবহ
মৃতসঞ্জিবনী

অমরাবতীরপ্রান্তেক্ষীরসাগরেরবাড়ি
ফাঁকামাঠেথমকেরয়েছেশীত
কুয়াশাপ্রণাম
কিছুটাচাঁদেরআলোআরঘুমউষা
প্রগাঢ়কাঁচেরমতোথিরনদী
যেনঘুমিয়েরয়েছেমাছ
গুল্মবিছানায়
শুধুঠান্ডাহাওয়ায়ওড়েপ্রত্নকুটি
অতীতআজান

অচলপুরেরথেকেপাকদন্ডি
উঠেগেছেচিখলদরায়
এদিকেসেদিকেমুখিয়েরয়েছেঘাই
জঙ্গলজটিলতাদেরলেলিহজিভ
স্কাইস্ক্যাপারেরমতোদ্রোহী
উর্ধমুখভাবি
কন্ঠনালিবেয়েকেনেমেছেকবে
তৃষ্ণারগহনেশুধু
জিভেরবারুদেছাইহোয়ে
উড়েগেছেআমাদেরভ্রমণবিলাস
শিখাধরেআগুনআত্মায়
নেমেযাবে
সেপ্রতিভাঅর্জনকরেনিআজো
গাঙচিলঅথবামানুষ

তিনহাজারআটশোফিটনীচে
হিমার্তসাপেরমতোগুড়িমেরে
নেমেযায়পর্য্টনবিভা
ভীমকুন্ডেএখনোখলবলকরে
শ্বেতজোৎস্না
অজস্রআলোরকণাহোলিখেলে
সবুজউৎসবে
মহাভারতীয়কোনরক্তনেই
হাতেনিলেসেইঠান্ডাশান্তজল
পাথরেরমতোলুপ্তকাম
নুড়িনুড়িহোয়েআজ
অনাবিলবালি

শুধুকিজঙ্গল
যেনইতিহাসফুঁড়ে
পাহাড়ীবাঘেরক্রোধ
থমমেরেরয়েছেপ্রাকারে
হাওয়ারাগুমরেমরে
পাথরেরঘেরাটোপে
ফোঁকরেযক্ষেরমতো
ঘুলঘুলিসাপ
সমাধিতেআপ্লুতভ্রমর
লয়তোলেজহরব্রতের
ঘুমন্ততোপেরওপর
ত্রিকালজ্ঞমৌ্মাছিরঝাঁক
হাড়েরভাগাড়েনেমেআসে
রাশিরাশিভুশুন্ডিরকাক
মনেহয়বহুধর্মবহুপ্রজাতির
মুহুর্মুহুআক্রমণে
গাবিলগড়েরকিলা
ভরেগেছেনুব্জখন্ডহরে
তাদেরকোথাওগায়ত্রীমন্ত্র
আবেগআজান
কোথাওপ্রগাঢ়ঈর্ষা
দ্বেষঅহঙ্কার
কোথাওমাকড়জালে
বন্দীঅভিমান

 

ভ্রমণ

যতটাবিস্ময়ছিলোতোমারদুচোখে
যাতোমাকেভিখিরিকোরেছে
তুমিতারযোগ্যনওএমতভেবেছি
বীতস্পৃহযেটুকুদেখেছোতুমি
সন্দেহসন্ন্যাস
আমিতারযোগ্যভেবেঅবাকহোয়েছো
হায়চুর্ণঅহঙ্কারলঘুবর্ণভুলপ্রবণতা
শোভনপাল্লায়দুইভিক্ষাপাত্রদোলে
হায়জিহ্বাতৃষ্ণারঅদুরেএতফল্গুজলীয়তা
নেপথ্যবিজনআর্তিঅথচকুয়াশা

 

 

 

বিদিশা

তারপরএকদিনঠান্ডাঅলিন্দেরথেকেঝুমঝুমিঅন্ধকারফুঁড়ে
জেগেউঠলেতুমি
তোমারমিহিনচুলেরথেকেসন্তর্পনেনেমেএলোরাত্রি
রাত্রিনেমেএলোআমাদেরবিষণ্ণশরীরে
এবংদেওয়ালঘড়িরওপর
সচলকরোটিতন্ত্রেশুরুহোলোরাত্রিরঅভিসার
ছড়িয়েপড়তেপড়তেরাত্রিএকসময়গিলেফেললো
আমাদেরহিমঘরদীর্ণঅধুনা
তোমারচোখেরনীলেভেসেউঠলোস্মৃতিওবিষাদ
তুমিডায়েরিরধূসরআড়ালথেকেলঘুছন্দেউঠেএলে
ইতিহাসওআদিখোশামাড়িয়েমাড়িয়ে
চাঁদেরক্রমণেক্রমেবেড়েউঠলোরাত
তোমারআমারমাঝেআদিগন্তকুয়াশাকেলুটেনিলো
নৈঃশব্দওজোৎস্নারকরুণা
শেষতারাটিরসাথেযখনমিলিয়েগেলেচুপিসারে
তোমারগল্পেররেশচুলেরগন্ধেরসাথেমিশেছিলো
অথচক্কখনোফেলেআসাগদ্যময়দিনেরচিতায়
তোমারআমারকোননিভৃতিরগল্পনেইআলিঙ্গন
আমাদেরমনেইছিলোনা

 

 

 

 

 

সন্মোহরাগিনী

সেএকবিরলধ্বনিবেজেওঠেকখনোকখনো
নির্জনতাযখনতর্জনিতুলেনিসর্গকেবলেওঠে 'চুপ'
আরনদীথেমেযায়স্তব্ধচরাচরশুধুগোধূলিতখনো
তারছেনালিতেরক্তময়করেরাখেঅখন্ডঅরূপ
সেধ্বনিসেসন্মোহরাগিনীঅপলকপ্রগাঢ়বিজন
নির্লিপ্তিওমোহিনীরনিথরপ্রণয়ধরেরাখোঅনুভবে
কেননাএসন্ধিক্ষণঅপ্রাকৃতকখনোকখনোতারসন্মোহন
আমাদেরহানেশিল্পঅমরতাতাকেকেদিয়েছেকবে

 

 

ডালিগঞ্জ

হাসিনাবাজারথেকেহেরেটেরব্যোমহোয়ে
হাঁটাপথেঘুরেআসিবরখাবাহার
কেনাকাটাকিছুইহয়নাআমাদের
ঘুরিফিরিশিসদিই
পায়রারমতোওড়েলঘুঅবসর
ডালিগঞ্জেযাকেআমিভরেনিই
ক্যামেরারলোভীআচমনে
নামতাঁরজানিনাতো
ধরাযাকনীলম ... নীলম
রেশমেরমতোযারসাপুড়েঅলকে
জ্বলেকামরাঙাফুল
অনন্তপ্যাসেজজুড়েকেনএতনীলনীলসমারোহ
এমননীলিমাবড়োমোহময়হয়

 

খাপি

অনুত্তেজবিষন্নতাগুলিঅঙ্গাঙ্গহোয়েইওঠেএরকমঘড়িপথে
যখনআষ্টেপিষ্টেজড়িয়েধরেনাছোড়টানাপোড়েন
কংক্রীটনয়তখনআমরাঅন্যএক
জঙ্গলেরকথাভাবি -
একটুঅপারগূঢ়আরসবুজাভ
যেখানেশান্ত্রাবনেরপাশদিয়েহঠাৎকোরে
হামলেপড়েনামনাজানাকোননদী
সঙ্গিনব্রীজেরকোনেঅশ্বত্থেরভয়াবহগুচ্ছমুল
শুনসানবাজরাখেতজনমনিষ্যিহীন -
শুধুজলেরগভীরেবুদ্বুদেরমতোভাসেলেবুগন্ধ
আরজামরুলছায়ারনির্লিপ্তঘুমেরমতোপড়েথাকে
একশিকারীকুকুরেরমৃতদেহ
মু্র্ত্তহোলেযাকেশিল্পবলি
মুর্ত্তনাহোলেযাকেশিল্পবলতেশিখেছিআমরা
একদিনডিসেম্বরে
আমাদেরক্ষণিকগমনে......
একদিনঘড়িপথে
আমাদেরফিনিকউডালে......
তাআসলেসুনিশ্চিতছিলো

পর্যাবৃত্ত

বৃষ্টিএসেধুয়েদ্যায়উই-এরসংসার
তাতারজলেরধারা
ছড়িয়েছিটিয়েফ্যালেশাদামাংস
শ্বেতহারাকিরি
তুমিতারদুর্দশায়হেসেছোসুন্দর
দ্যাখোসুন্দরছিঁড়েছেচক্ষু
প্রগতিররাঙাকাচেঝিকিয়েউঠেছেলজ্জা
সুন্দরেরধুর্ত্তকারুকাজ
আরনারীওনিষাদএলো
আমোঘপ্লাবন
যন্ত্রওশাসনএলো
ক্রুদ্ধসংবিধান
ভেসেগ্যালোঅন্ধরক্ত
সুন্দরেরবাসভুমি
উইআত্মীয়তা

 

দিনলিপি

ধাতবছেনিরশব্দশোনাযায়ক্ষুরধার
আত্মারভেতরেবাজেদ্রিমিদ্রিমিঅসন্তোষ
কোথাওযাওয়ারকথাছিলোবুঝি
কোনপ্রিয়নারীঅলিন্দেদাঁড়িয়েছিলসারারাত
শিশিরপাতেরমতোকুচোকুচোক্ষোভঝরেপড়েছিল
সারাগিরিপেঠজুড়েএতসীসাকেছড়ালো
এতঘৃণা......... তুমিজানো
দুপায়েজড়িয়েগেছেফলিতহীরক
শুধুইমাড়িয়েযাওয়ানিজেকেআমুল
আরবেশীস্পর্ধানেই
আরকোনঅস্ত্রনেই
কোনঅহঙ্কার ...

 

পয়লাদিনে

সিটিসেন্টারেরএকমনোরমপরিবেশেভিনদেশীপঁচিশেযুবক
মিলেআজমজাহোলোবেশ
আশিরপয়লাদিনেটল্টলেসরোবরঘিরেএদিকসেদিকেকতো
ক্ষণিকেরপিকনিকপার্টি
ছেলেবুড়োচনমনেঅনেকযুবতী - তারমাঝেউত্তালউদ্দাম
বোহেমিয়পঁচিশযুবকমিলেমজাহোলোখুব
অথচপঁচিশযুবতীনেইসাথেনেইদারু
শুধুডিয়ারপার্কেরভেতরহরিণেরব্যস্তছুটোছুটি
ছোট্টষ্টেশনথেকেএইমাত্রঝুকঝুককোরে
উড়েগেলটয়ট্রেনজঙ্গুলেটিলারথেকে -
সবকিছুছায়াছবিবলেমনেহয়অথচছবিতোনয়
জীবনেরসুন্দরশোভনএইঅবয়বরুপ
সিগারেটধরিয়েআমিনির্নিমেষচেয়েদেখি -
ব্রীজেরনীচেওইস্নানরততরুণতরুণী
কয়েকঘন্টারজন্যওরাআজপৃ্থিবীরকেউনয়
সবুজজাজিমেআজখেলাকরেমিঠেরোদ
জংলাফুলেরগন্ধভেসেআসেমোহকবাতাসে
- বড়োভালোলাগেমনেহয়যদিফ্রিজ
কোরেরেখেদেওয়াযেতএইপবিত্রউল্লাস
যুবকেরনাচগানতরুনীরপ্রজাপতিডানা...
ফুটফুটেখৈ-এরমতোবাচ্চাদেরওড়াওড়ি
পলাশেররঙিনহাওয়ায়অহোভিনদেশীপঁচিশযুবকমিলে
বড়োমজাহোলোআজবড়োমজা...

 

ক্রীতদাস

তুমিবললেতোমারনির্জনকোনঘরনেই

যারভেতরআমরাচুপটিকোরেবসেথাকবো

অনন্তকাল

আমিনিপুণহাতেহত্যাকোরলামআমারপ্রহরীকে

 

তুমিবললেতোমাকেচারপাশেঘিরেধরেছে

প্রবলপৃথিবী

আমারদমবন্ধহোয়েআসছে

আমিইঁটেরপরইটসাজিয়েবন্ধকোরলাম

দরজা-জানলাফাঁকওফোকর

 

বাইরেথেকেতুমিবললেদরজাখোলোক্রীতদাস

অপার্থিবনির্জনঘরেরমধ্যথেকেআমিতোমার

কন্ঠশুনতেপেলামনা

 

ক্রীতদাস

তুমিবললেতোমারনির্জনকোনঘরনেই
যারভেতরআমরাচুপটিকোরেবসেথাকবো
অনন্তকাল
আমিনিপুণহাতেহত্যাকোরলামআমারপ্রহরীকে
তুমিবললেতোমাকেচারপাশেঘিরেধরেছে
প্রবলপৃথিবী
আমারদমবন্ধহোয়েআসছে
আমিইঁটেরপরইটসাজিয়েবন্ধকোরলাম
দরজা-জানলাফাঁকওফোকর
বাইরেথেকেতুমিবললেদরজাখোলোক্রীতদাস
অপার্থিবনির্জনঘরেরমধ্যথেকেআমিতোমার
কন্ঠশুনতেপেলামনা

অন্ধকারসিঁড়িতেথমকেরইলোঅভিমান
আরআমিঘৃণারশেকলটেনে
লোভওপাপেরযতোলঘুসিঁড়িমাড়িয়েমাড়িয়ে
নেমেএলামঠান্ডাহিমশ্মশানভুমিতে
যেখানেচুল্লিচিতায়পোড়েদাঊদাঊআমারপৌ্রুষ
আরউঠেআসেপরিত্রাণহোমধোঁয়া
কান্নাওকোরাস
ঈশ্বরহেএভাবেকদ্দুরযাবো
কতদূ্রেতোমারউদ্ভাস

যারা আমার প্রিয়জন তাঁরা আমাকে
প্রিয়জন নাও ভাবতে পারেন
কেননা প্রিয়জন হবার কোন যোগ্যতায়
আমার নেই
আর যেহেতু তাঁরা প্রিয়জন
সেহেতু তাঁরা অনেক বেশী সম্পন্ন ও গুণী
তাঁদের ইমেজ
খানিকটা দেবতার মতো প্রিয়তর
আর মাঝে মাঝে কিছু
দুর্গম প্রিয় জায়গায় আমার প্রিয় মানুষেরা আসেন
তাঁদের পরনে প্রিয় পোশাক টোশাক
মুখে প্রিয় অভিব্যক্তি প্রিয় সিগারেট
আমিও কখনো সখনো ভুল কোরে
প্রিয় জায়গায় এসেপ ড়ি
আর প্রিয়জনদাদাদের সাথে দ্যাখা হোলে বলি ;
এই যে প্রিয়জনবাবু...... কেমন আছেন ...
ভালো তো...... আমার চিঠি......
আর প্রিয়জনবাবু প্রিয় হাসি হেসেব লেন ;
মাপ কোরবেন...... ইয়ে আপনাকে ঠিক ...
কোথায় বলুন তো......

অন্ধমোহেযেযুবকঘূরিয়েনিলমুখ
তাকেআমিকিদেবআজ
কাঁটাওকম্পাস
গান
নীলধ্রুবতারা
নাকিবীতশব্দপ্রত্যাশায়কাটাবোলু-দিন
আরএকদিন
মোহমদেআর্তমুখদেখে
উঠেআসবেঅনাবিল
পাতালপ্রবাস

বরংপ্রয়াসভালো
যুদ্ধভালো
ভালোওইশকুনে-শিকার
স্বেদকল্প
নুন
ব্যর্থহওয়াভালো
ভালোখেদ
প্রত্যাখানবিষ
নির্জনযুবক
শুধুলোভভালোনয়
ভালোনয়একাএকা
হেমন্তেরভোরে
বিকল্পগরল
কিম্বা
মেহন-অসুখ


ঞ্জীবনচাঁদিইবোঝেচাঁদততোঅনিবার্যনয়
তবুআমিআকাশেরদিকেবাড়িয়েদিলাম
আমারশীর্ণদুহাত
আমারভাতেরথালাকেড়েনিয়েগেলমহাজন
আরপ্রতিবেশীজীবনএসেদিয়েগেল
ছোলামুড়িদীপঙ্করজ্ঞান
আমিপেটেগামছাবেঁধেচেঁচিয়েবললাম
হেজীবনতুমিসুন্দরওশিল্পময়হোয়েওঠো
আমাদেরসম্মিলিতভালবাসায়
লটারিরটিকিটকিনতেকিনতেবুড়োহোয়েগেলেনবাবা
আমিতারঅভিমানীপ্রত্যাশায়লিখেরাখলাম
সত্যশিবসুন্দরেরগান
আমারপোশাকছিঁড়েনিয়েগেলশাইলক
আরকোথারথেকেএকদিনজীবনএসেবলল
তুমিকিপাগলদিগম্বরেরমতোদাঁড়িয়েরয়েছো
চোদ্দোপুরুষেরভিটেয়
আমিবললামশুদ্ধতারদিকেহেঁটেযাক
আমাদেরছদ্মজীবন
ঢিলহাতেআমায়তাড়াকোরলোজীবন
আরআমিদৌড়তেলাগলামসুন্দরওশিল্পময়
জীবনেরওপরদিয়ে
পিঠেরওপরদমাদ্দমপড়তেলাগলোঢিল
রক্তেভিজেগেলআমারজন্মভুমি
আমাদেরসত্যশিবজীবনেরগান
আরএভাবেইপিছুহটতেহটতেপিছুহটতেহটতে
আমিএক্সময়বলেউঠলাম
রক্তেরমতোউষ্ণআরপরিশ্রুতহোয়েউঠুক
আমাদেরবেঁচেথাকা
শরীরচুঁইয়েপড়তেলাগলোরক্তেরধারা
আরলুটিয়েপড়ারআগেশেষবারেরমতো
আমিএকসময়আকাশেরদিকেছুঁড়েদিলাম
আমারক্ষুব্ধদুহাত


KHANAN SARANI  215 VASANT VIHAR  LAVA ROAD  WADI   NAGPUR 440023  MOB: 9373109607

Saturday, February 16, 2019

 

বিবাহ

তার কাছে যাই
নিরবতা যার স্বরলিপি, বীতমন্ত্র
তার গান গাই

এ রকম আমার ভ্রমণ, এ রকম
নীল অবগাহ
যে রকম পাখির উড়াল, যে রকম
ধ্বনির বিবাহ ………

ক্রীতদাস

তুমি বললে তোমার নির্জন কোন ঘর নেই
যার ভেতর আমরা চুপটি কোরে বসে থাকবো
                       অনন্তকাল
আমি নিপুণ হাতে হত্যা কোরলাম আমার প্রহরীকে
তুমি বললে তোমাকে চারপাশে ঘিরে ধরেছে
                       প্রবল পৃথিবী
আমার দম বন্ধ হোয়ে আসছে
আমি ইঁটের পর ইট সাজিয়ে বন্ধ কোরলাম
দরজা-জানলা ফাঁক ও ফোকর
বাইরে থেকে তুমি বললে দরজা খোলো ক্রীতদাস

অপার্থিব নির্জন ঘরের মধ্য থেকে আমি তোমার
                      কন্ঠ শুনতে পেলাম না

Saturday, September 08, 2018

 

মৃত্যুঞ্জয়


সুকুমার চৌধুরীর কবিতা

মৃত্যুঞ্জয়

কে যেন গুড়িয়ে দিতে চায় ।
কে যেন পুড়িয়ে দিতে চায় ।

চুর্চুর মৃত্তিকা থেকে উঠে আসি ।
গর্গর অঙ্গার থেকে উঠে আসি ।

মৃত্তিকা থেকে উঠে আসি গাছ ।
অঙ্গার থেকে উঠে আসি নাশ ।

কিছুদিন গাছের মতো বাঁচি ।
কিছুদিন নাশকতায় বাঁচি



Sunday, February 19, 2017

 

সাঁজোয়া বাহিনী

পুরস্কার নিতে গেলে অল্প সেজেগুজে যেতে হয় ।
একটা ভালো পাঞ্জাবী হলে ভালো হয়, নেই ।
কবিতা যেটা পড়বো, নির্বাচনের জন্য
অল্প সময় পেলে ভালো,  নেই ।
সময় মত অনুষ্ঠানে পৌঁছে যাওয়ার ছুটি,  নেই ।
কত কিছু নেই আমার জীবনে
তাতে আমার কিছুই এসে যায় না
শুধু যখনই কোন পুরস্কার পাই
তখনই তাঁদের মনে পড়ে শেষবার
তাঁরা আমার পোষাকআশাকের খবর রাখবে
বলেছিল, ভুলে গেছে ।হয়তো কথার কথা নয়তো
ভাবতেই পারে নি আবার আবার আমি
এবারও আমি ছেঁড়াখোঁড়া পাঞ্জাবী পরে
কেএইচএম এওয়ার্ড নিতে যাই নেতাজী নগরে
এবারও সময় নেই, একটু আগের ছুটি কই,
সেই হড়বড়ি আমার শুভৈষীরা কিন্তু তৈরী হয়ে
থাকে আমার সঙ্গ আজ তাঁদের ভালো লাগে
আমার কিছুই নেই শুধু এক  সাঁজোয়া বাহিনী  আছে

সাঁজোয়া বাহিনী  নিয়ে আমি ফের পুরস্কার নিতে যাই ।

Friday, February 17, 2017

 

অনাবৃত

সারাদিন ভিস্যুয়ালে নিষিদ্ধ শরীর !
যাঃ নিষিদ্ধ আবার কি !
শরীর কখনো নিষিদ্ধ হোতে পারে না
         যে রকম প্রেম রমণ 

আর সুন্দর সুন্দর নিষিদ্ধ গল্পের অবকাশ
যাঃ নিষিদ্ধ আবার কি !
গল্প কখনো নিষিদ্ধ হোতে পারে না
        যে রকম কাম, স্বেচ্ছাচার

শরীরের গল্প জুড়ে
অবচেতনার ডানা
তা হোলে তো উড়াল ভুলে
        অপ্রাকৃত হোয়ে যেত.........  


২৪ কার্তিক ১৪১৭

This page is powered by Blogger. Isn't yours?