Saturday, July 18, 2015

 

সুকুমার চৌধুরীর ১০টি কবিতা

সুকুমার চৌধুরীর টি কবিতা
রহস্য

একজন শিল্পী জানেন
অনুভবের কোনো অবয়ব নেই 

তিনি তাকে তরলতর কোরতে চান
তিনি তাকে জলের মতো ব্যবহার করেন 

মূর্ত্ত হোলে খুশি হন
না হোলে বিমূর্ত্ত থাকেন

একা ভারী একা আর তাঁর মুখে
লেগে থাকে বিষন্ন হাসির রহস্য

সম্পর্ক 

ভয় মুল্য পায় তবু প্রদাহবিহীন এই স্পর্শগুলি 
রয়ে যায় সন্তর্পনে তাদের আবহগুলি কাজ করে
যায় কেউ বুঝতে পারে না

আমরাও পরম্পর ছুঁয়ে থাকি কোন উত্তরণ হয না
আঙুলগুলি ছোঢৌ হয়ে আসে ম্পর্শগুলি ক্ষীণ

ছুঁয়ে থাকি ছুঁয়ে ছুঁয়ে থাকি একাত্ম হওয়ার
কথা ভাবতে পারি না

ভাঁড়

কিছুটা পরত ছিল মিথ্যের
জানি আমি জানি
সে শুধু মোডক
শ্তধু অধিবাসে লাগে

অভিষিক্ত হয়ে গেলে
পাত্রটির প্রগাঢ় বিজন
অল্প অল্প ভরে দিতে গিয়ে
চন্দ্রাহত আমি
চেয়ে দেখি
শূণ্যতার গ্রহনপ্রতিভা নেই

শুধু
ফুটো ফুটো
অহঙ্কার আছে


পরিত্রান

তুলে ধরি যাপন অন্য কোন পরিত্রান নেই
সাম্যতা কি কোনদিন হয় হয়েছিল দাঁতে দাঁতে চেপে
সংসার নামের এক অজর মানবী চেয়েছিল নিরুদ্বেগ
তার দুধে ভাতে আজ মাছি হয়ে বসি চেটে চেটে
তুলি পরিত্রান যাপনের মেধ মল্লার  

আর কোন শিল্প নেই কোন স্বেদ গান

বিলাস

ফিরে আসে ঘড়ির কাঁটারা তখন উল্ঢো দিকে হাঁটে সময়ের এই
থেমে ষাওয়া কেউ কেউ টের পায় কোন মুসাফির , কেউ বিলাস
বিজন

কিভারে সে ফিরে আসে সন্তর্পন কুয়াশার আস্তরন ফুঁড়ে ছোট 
ছোট অনুষঙ্গ নিয়ে, কাতর সম্তাপ নিয়ে, সন্ধ্যা সকালগুলি নিয়ে
স্মৃতিময়

কেন যে সে ফিরে আসে অশোক বৃক্ষেরা ভাবে, কান্ডহীন শোকাভ
চাদ্দিক ফের ঘন হয়ে আসে বৃষ্টি হয় অনুভূত হয় শূণ্যবোধ অগম
উদ্ধার

নিস্প্রান আলাপচারি, মুসাফির থম্ নিঃশব্দ শাসন করে মৃত্যু, অশরীর
ফিরে আসে পুরোনো দিনের গল্প স্মৃতি ৎপর, হিম, আর অধোমুখ বিমর্ষ
বিলাস

নীল

আহত হই আহত হোতে থাকি
আর কিছু দিয়েছে কি সংবেদন ?

এত যে আঘাত এত ক্ষত
এত যে আঘাত এত নুন

থিতানো বারুদগুলি ভিজে ওঠে
স্ফুলিঙ্গবিহীন

শুধু একটি অঙ্গার গন্ধ
ধরে রাখে শীর্ণ অভিমান

এইসব অভিমান থেকে কোন যুদ্ধ নেই
যুদ্ধবিহীন কোন উত্তরণ এখনো সুদুর

বাতাসে ছড়িয়ে যায় বিষ
আকাশে ছড়িয়ে যায় অভিমান

সমূহ যাপন জুড়ে
সংবেদের নীল

আহত হই
আহত হতে থাকি

অনর্গল

মুছে যাও যেন ক্লাসবুক, রকম ব্যপ্ত চরাচর
ইরেজার ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে তুমি শান্ত করো 
সভ্যতার তাব ম্যাডাম  
ভয় পাও শান্ত হয়ে আসে দিগ্বিদিক
তর্জনীর ধারে আর ভ্রুকুটির গন্ধ নয় অবসন্ন ক্ষমা

মুছে যাও মুছে যেতে যেতে দৃষ্টি উড়িয়ে দাও
আর জেগে ওঠে বোধ বোধের গোপন বিশ্ব
গূঢ় অনর্গল

আমার গোপন কোন বিশ্ব নেই আমি ওই
মুছে যাওয়া দেখে ফিরে আসি ফিরে ফিরে আসি

গিঁ

ছিটগ্রস্ত গিঁটগুলি কলাদের মতো 
ভিজিয়ে দিয়েছি আজ
রক্ত রমনে স্যানেটোরিয়ামের মতো
নিথর য়র্কশপ অদ্ভুত একাকী শুধু
য়ে রকম পরিবৃতি চেয়েছিসে রকম শুধু 
য়ে রকম পল্বল চেয়েছিসে রকম আহ
কতদিন পর এই অদ্বতীয় ভুমন্ডলে
থেমে গেল ঘড়ি আর নির্বীষ ঘোড়ার মতো
ভূতচতুর্দশী
তা রা পা দুখানি
ঠুকে ঠুকে ঠুকে
নার্শিশাশময়

অন্তরা

কথাগুলি শেষ হয়ে আসে পালাতে পালাতে
আমরা ক্রমশঃ হয়ে উঠছি সন্ধিগ্ধ শব্দহীন
খাটো করে ফেলছি জমি দীর্ঘদ্রবণের দিন
শেষ হয়ে এলো

কতদিন সম্মিলনী নেই ইডিয়টবক্সের সামনে
ঘন হয়ে উঠছে আমাদের লিমিটেড অবসর 

চারিত্র

দাঁতের ফোঁকর যেন ।

ফেঁসে যায় লেগে থাকে মাংসগন্ধ ।
সুগন্ধি রুমালে ঢাকি দুর্বলতা ।
চোখে সানগ্লাশ ।

কত মাংস চেয়েছি জীবনে ।
কত নষ্ট রাগ । মেটেনি
আত্মার খিদে ।


দাঁতের ফোঁকর যেন 

This page is powered by Blogger. Isn't yours?


একজন শিল্পী জানেন
অনুভবের কোনো অবয়ব নেই 

তিনি তাকে তরলতর কোরতে চান
তিনি তাকে জলের মতো ব্যবহার করেন 

মূর্ত্ত হোলে খুশি হন
না হোলে বিমূর্ত্ত থাকেন

একা ভারী একা আর তাঁর মুখে
লেগে থাকে বিষন্ন হাসির রহস্য

সম্পর্ক 

ভয় মুল্য পায় তবু প্রদাহবিহীন এই স্পর্শগুলি 
রয়ে যায় সন্তর্পনে তাদের আবহগুলি কাজ করে
যায় কেউ বুঝতে পারে না

আমরাও পরম্পর ছুঁয়ে থাকি কোন উত্তরণ হয না
আঙুলগুলি ছোঢৌ হয়ে আসে ম্পর্শগুলি ক্ষীণ

ছুঁয়ে থাকি ছুঁয়ে ছুঁয়ে থাকি একাত্ম হওয়ার
কথা ভাবতে পারি না

ভাঁড়

কিছুটা পরত ছিল মিথ্যের
জানি আমি জানি
সে শুধু মোডক
শ্তধু অধিবাসে লাগে

অভিষিক্ত হয়ে গেলে
পাত্রটির প্রগাঢ় বিজন
অল্প অল্প ভরে দিতে গিয়ে
চন্দ্রাহত আমি
চেয়ে দেখি
শূণ্যতার গ্রহনপ্রতিভা নেই

শুধু
ফুটো ফুটো
অহঙ্কার আছে


পরিত্রান

তুলে ধরি যাপন অন্য কোন পরিত্রান নেই
সাম্যতা কি কোনদিন হয় হয়েছিল দাঁতে দাঁতে চেপে
সংসার নামের এক অজর মানবী চেয়েছিল নিরুদ্বেগ
তার দুধে ভাতে আজ মাছি হয়ে বসি চেটে চেটে
তুলি পরিত্রান যাপনের মেধ মল্লার  

আর কোন শিল্প নেই কোন স্বেদ গান

বিলাস

ফিরে আসে ঘড়ির কাঁটারা তখন উল্ঢো দিকে হাঁটে সময়ের এই
থেমে ষাওয়া কেউ কেউ টের পায় কোন মুসাফির , কেউ বিলাস
বিজন

কিভারে সে ফিরে আসে সন্তর্পন কুয়াশার আস্তরন ফুঁড়ে ছোট 
ছোট অনুষঙ্গ নিয়ে, কাতর সম্তাপ নিয়ে, সন্ধ্যা সকালগুলি নিয়ে
স্মৃতিময়

কেন যে সে ফিরে আসে অশোক বৃক্ষেরা ভাবে, কান্ডহীন শোকাভ
চাদ্দিক ফের ঘন হয়ে আসে বৃষ্টি হয় অনুভূত হয় শূণ্যবোধ অগম
উদ্ধার

নিস্প্রান আলাপচারি, মুসাফির থম্ নিঃশব্দ শাসন করে মৃত্যু, অশরীর
ফিরে আসে পুরোনো দিনের গল্প স্মৃতি ৎপর, হিম, আর অধোমুখ বিমর্ষ
বিলাস

নীল

আহত হই আহত হোতে থাকি
আর কিছু দিয়েছে কি সংবেদন ?

এত যে আঘাত এত ক্ষত
এত যে আঘাত এত নুন

থিতানো বারুদগুলি ভিজে ওঠে
স্ফুলিঙ্গবিহীন

শুধু একটি অঙ্গার গন্ধ
ধরে রাখে শীর্ণ অভিমান

এইসব অভিমান থেকে কোন যুদ্ধ নেই
যুদ্ধবিহীন কোন উত্তরণ এখনো সুদুর

বাতাসে ছড়িয়ে যায় বিষ
আকাশে ছড়িয়ে যায় অভিমান

সমূহ যাপন জুড়ে
সংবেদের নীল

আহত হই
আহত হতে থাকি

অনর্গল

মুছে যাও যেন ক্লাসবুক, রকম ব্যপ্ত চরাচর
ইরেজার ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে তুমি শান্ত করো 
সভ্যতার তাব ম্যাডাম  
ভয় পাও শান্ত হয়ে আসে দিগ্বিদিক
তর্জনীর ধারে আর ভ্রুকুটির গন্ধ নয় অবসন্ন ক্ষমা

মুছে যাও মুছে যেতে যেতে দৃষ্টি উড়িয়ে দাও
আর জেগে ওঠে বোধ বোধের গোপন বিশ্ব
গূঢ় অনর্গল

আমার গোপন কোন বিশ্ব নেই আমি ওই
মুছে যাওয়া দেখে ফিরে আসি ফিরে ফিরে আসি

গিঁ

ছিটগ্রস্ত গিঁটগুলি কলাদের মতো 
ভিজিয়ে দিয়েছি আজ
রক্ত রমনে স্যানেটোরিয়ামের মতো
নিথর য়র্কশপ অদ্ভুত একাকী শুধু
য়ে রকম পরিবৃতি চেয়েছিসে রকম শুধু 
য়ে রকম পল্বল চেয়েছিসে রকম আহ
কতদিন পর এই অদ্বতীয় ভুমন্ডলে
থেমে গেল ঘড়ি আর নির্বীষ ঘোড়ার মতো
ভূতচতুর্দশী
তা রা পা দুখানি
ঠুকে ঠুকে ঠুকে
নার্শিশাশময়

অন্তরা

কথাগুলি শেষ হয়ে আসে পালাতে পালাতে
আমরা ক্রমশঃ হয়ে উঠছি সন্ধিগ্ধ শব্দহীন
খাটো করে ফেলছি জমি দীর্ঘদ্রবণের দিন
শেষ হয়ে এলো

কতদিন সম্মিলনী নেই ইডিয়টবক্সের সামনে
ঘন হয়ে উঠছে আমাদের লিমিটেড অবসর 

চারিত্র

দাঁতের ফোঁকর যেন ।

ফেঁসে যায় লেগে থাকে মাংসগন্ধ ।
সুগন্ধি রুমালে ঢাকি দুর্বলতা ।
চোখে সানগ্লাশ ।

কত মাংস চেয়েছি জীবনে ।
কত নষ্ট রাগ । মেটেনি
আত্মার খিদে ।


দাঁতের ফোঁকর যেন 
|W|P|5194455683130632261|W|P|সুকুমার চৌধুরীর ১০টি কবিতা|W|P|khanan@gmail.com8/29/2015 11:50:00 PM|W|P|Blogger Rainbow|W|P|অসাধারন কবিতা।
আমার ব্লগঃ http://monpakhee.blogspot.in/-->